নগদ মুনাফা পাওয়ার নিয়ম । নগদ টাকা জমানোর লাভ

নগদ মুনাফা পাওয়ার নিয়ম । নগদ টাকা জমানোর লাভ

অনেকেই নগদে টাকা জমা রাখে এবং জানতে চায় নগদে টাকা জমা রাখলে উক্ত টাকার উপর মুনাফা প্রদান করবে কি-না। এবার জানানো সেই বিষয়েই, নগদ মুনাফা পাওয়ার নিয়ম ও নগদ টাকা জমানোর লাভ কত সেই বিষয়ে থাকলে বিস্তারিত তথ্য। 

নগদ মুনাফা 

নগদ একাউন্টে মুনাফা পাওয়ার নিয়ম

নগদ থেকে মুনাফা পেতে একজন গ্রহককে তার একাউন্ট সম্পূর্ণ তথ্য বহুল বা প্রোফাইল তৈরি করে রাখতে হবে। পাশাপাশি একাউন্ট থেকে মুনাফা অপশন অন করে রাখতে হবে। যদি কোনো গ্রাহকের প্রোফাইলে মুনাফা অপশন অন না থাকে কিংবা ইসলামী একাউন্ট ধরণ সিলেক্ট করা থাকে তবে সে গ্রাহক মুনাফা পাবে না। 

প্রতি মাসে মিনিমাম ২ টি আর্থিক লেনদেন একাউন্ট থেকে করতে হবে। হতে পারে সেটা ক্যাশ ইন ক্যাশ আউট কিংবা অন্য কোনো লেনদেন। তাছাড়া যাবতীয় লেনদেন শেষে একাউন্টে সর্বনিম্ম ৫০০০ টাকা থাকতে হবে। 

যদি কোনো মাসে একাউন্ট ব্যালেন্স ৫০০০ টাকার কম হয়ে যায় কোনো একদিন তবে সেই মাসে মুনাফা পাওয়া যাবে না।  এবং মাস জুরে দিন শেষে থাকা ব্যালেন্সের উপর নির্ভর করে বার্ষিক মুনাফার হারে গড় মুনাফা প্রদান করা হবে। এবং ৩ মাস পর পর গ্রাহক উক্ত মুনাফা একাউন্টে পেয়ে যাবে।

এক্ষেত্রে দেখা গেলো আপনি মাস জুরে একাউন্টে মোট ব্যালেন্স রেখেছিলেন ৬০,০০০ টাকা সে হিসাব অনুযায়ী আপনার মুনাফার হার হওয়ার কথা ২.৫% কিন্তু সে মাসে একদিন ব্যালেন্স ছিলো ৫০০০ টাকা এক্ষেত্রে আপনি ওভারল মাসে মুনাফার হার পাবেন ১.৫% কেননা ৫০০০ টাকার মুনাফার হার ১.৫%। মোট কথা হলো দিন শেষে সর্বনিম্ম যত টাকা ব্যালেন্সে থাকবে সেই ব্যালেন্সের উপর নির্ভর করবে আপনি মাস ব্যাপি কত হারে মুনাফা পাচ্ছেন। এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক কত টাকা একাউন্টে জমা থাকলে কত টাকা মুনাফা পাওয়া যাবে বা কত হারে মুনাফা পাওয়া যাবে। 

বিকাশে টাকা রাখলে মুনাফা । বিকাশ সেভিংস এর মুনাফা 

নগদের মুনাফার হার 

আপনি নগদে টাকা জমা রাখার মাধ্যমে কত টাকা মুনাফা পাবেন সেটা নির্ভর করবে বার্ষিক মুনাফার হারের উপর। এবার দেখে নেয়া যাক নগদ কত টাকায় কত শতাংশ মুনাফা প্রদান করবে বলে জানিয়েছে। উল্লেখ্য যে, এই মুনাফার হার ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে এবং এখন অব্দি এটাই সর্বশেষ আপডেট। যেকোনো সময় নগদ উক্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে। 

আপনার একাউন্টে যদি ০ টাকা থেকে শুরু করে ৪৯৯৯ টাকা পর্যন্ত থাকে তবে বার্ষিক মুনাফার হার হবে ০.০%। যার অর্থ আপনার একাউন্টে ৪৯৯৯ টাকা কিংবা তার কম ব্যালেন্স থেকে থাকলে আপনি উক্ত মাসে কোনো মুনাফা পাবেন না। 

মুনাফা প্রাপ্তির সর্বনিম্ম ব্যালেন্স ৫০০০ টাকা এবং এটা থেকে শুরু করে ৪৯,৯৯৯.৯৯ টাকা অব্দি পুরো মাস জুরে থেকে থাকলে উক্ত মাসে আপনি মোট বার্ষিক মুনাফার হার পাবেন ১.৫%। এক্ষেত্রে গড়ে আপনার একাউন্টে যত টাকা থাকবে মাস জুরে তার উপর ১.৫% সুদের হারে মুনাফা প্রদান করবে। 

এরপর আপনার একাউন্টে যদি ৫০,০০০ টাকা থেকে ৯৯,৯৯৯ টাকা অব্দি ব্যালেন্স থেকে থাকে তবে আপনার প্রাপ্য সুদের হার হবে ২.৫%। একই ভাবে ১০০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৯৯,৯৯৯ টাকা অব্দি মাস জুরে একাউন্টে থেকে থাকলে বার্ষিক মুনাফার হার হবে ৩.৫%। 

সবশেষে আপনার একাউন্টে যদি ২০০,০০০ টাকার উপরে পুরো মাস জুরে থাকে তবে আপনার বার্ষিক মুনাফার হার হবে ৭.৫% এবং এটাই সর্বোচ্চ মুনাফার হার যা নগদ দ্বারা প্রদান করা হচ্ছে একাউন্টে টাকা জমা রাখলে।  

পরিশেষে, এই ছিলো “নগদ মুনাফা পাওয়ার নিয়ম” সংক্রান্ত ব্যাসিক তথ্য গুলো। এর বাইরে কোনো গোপন শর্ত নগদ রাখে নি। তাই আপনি ক্যালকুলেশনের মাধ্যমে আপনার জমানো অর্থের উপর কত মুনাফা পেতে পারেন তা এখন বের করে নিতে পারেন। ধন্যবাদ। 

Leave a Comment