বিকাশে টাকা রাখলে মুনাফা । বিকাশ সেভিংস এর মুনাফা 

বিকাশে টাকা রাখলে মুনাফা 

একটা সময় ছিলো যখন যখন কেবল ব্যাংকে টাকা রাখলেই সেখান থেকে নিদিষ্ট হারে মুনাফা পাওয়া যেতো। কিন্তু এখন সময়ের সাথে ফাইন্যান্সিয়াল বিষয়ের দিক থেকেও বেশ পরিবর্তন আসছে। মানুষ এখন মোবাইল ব্যাংকিং সেবার দিকে ঝুকছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিকাশেও ব্যাংকের মত টাকা রাখলে পাওয়া যাবে মুনাফা। এবার চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে বিকাশে টাকা রাখলে মুনাফা পাওয়া যায়।

বিকাশে টাকা রাখলে মুনাফা । বিকাশ সেভিংস এর মুনাফা 

বিকাশ সম্পর্কে তথ্য 

বিকাশ বাংলাদেশের একটি মোবাইল আর্থিক সেবা যা ইউজারদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর, বিল পরিশোধ এবং মোবাইল টপ-আপের মতো আর্থিক লেনদেন করতে দেয়। এটি ২০১১ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের একটি সাবসিডিয়ারি হিসেবে চালু করা হয়েছিলো। এবং তখন থেকে এখন পর্যন্ত ৪৫ মিলিয়নেরও বেশি নিবন্ধিত ইউজারের সাথে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানকারী হয়ে উঠেছে। বিকাশ ব্যবহারও খুব সহজ – মোবাইল অ্যাপ, ইউএসএসডি কোড এবং সারা দেশে অবস্থিত এজেন্ট পয়েন্টের মাধ্যমে এর সংস্পর্শে আসা সম্ভব। এছাড়াও কিউআর কোড পেমেন্ট এবং আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স সেবার মতো উদ্ভাবনী সেবা গুলো চালু রেখেছে।

বিকাশ থেকে মুনাফা পাওয়া সম্ভব? 

এতোদিন যাবৎ এটা সম্ভব না হলেও এখন এটা সম্ভব। জমাকৃত টাকার উপর সর্বোচ্চ ৪% অব্দি মুনাফা প্রদান করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। অন্যদিকে স্বাভাবিক ব্যাংক ৬% অব্দি মুনাফা প্রদান করে। সেই হিসেবে যেহেতু বর্তমানে বিকাশ ইউজ দিনদিন বেড়েই চলছে তাই এখানে থেকে কিছু রেভিনিউ পাওয়া মন্দ কিছু না। এবার জেনে নেয়া যাক কোন সে উপায় যার মাধ্যমে বিকাশ থেকে মুনাফা পাওয়া যাবে। 

বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম ও টাকা জমা রাখার পদ্ধতি

কিভাবে বিকাশে টাকা রাখলে মুনাফা পাওয়া যায়? 

ব্যাংকে টাকা রাখলে সেখান থেকে মুনাফা পেতে যেমন কিছু শর্ত মানতে হয় একই ব্যাপার বিকাশের ক্ষেত্রেও। বর্তমানে বিকাশে টাকা রাখলে মুনাফা পাওয়া যাবে দুইটা পদ্ধতিতে। আপনি স্বাভাবিক ভাবে বিকাশ ওয়ালেটে টাকা রাখার মাধ্যমেও মুনাফা পেতে পারেন। আবার বিকাশ অ্যাপ থেকে সঞ্চয় হিসাব খুলেও ভালো পরিমাণের মুনাফা পেতে পারেন। নিম্মে দুইটি পদ্ধতি নিয়েই আলোচনা থাকছে। 

আপনি বিকাশ অ্যাপ থেকে মুনাফা নিতে চান কি-না সেটা আপনাকে একাউন্ট খোলার সময় সেট করে নিতে পারবেন। যদিও আপনি চাইলে যেকোনো সময় এটা চালু অথবা বন্ধ করতে পারবেন। আপনি যদি মুনাফা নিতে ইচ্ছুক না হয়ে থাকেন তবে আপনাকে স্বাভাবিক ভাবে বিকাশে টাকা রাখলে মুনাফা দেয়া হবে না। তবে সঞ্চয়ী হিসেবের ক্ষেত্রে অবশ্যই দেয়া হবে। এবার একেক করে দুইটা পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। 

বিকাশে টাকা রাখলে মুনাফা 

বিকাশে ক্যাশ ইন করে স্বাভাবিক ভাবে টাকা রেখে দিলেও পাওয়া যাবে সেই টাকার উপর মুনাফা। এক্ষেত্রে গ্রাহককে অবশ্যই KYC ভেরিফাই করে নিতে হবে। একাউন্ট সচল থাকা সাপেক্ষে প্রতি মাসে অন্তত দুইটি লেনদেন করতে হবে। পুরো মাস জুরে দিন শেষে একাউন্ট ব্যালেন্স সর্বোনিম্ম ১০০০ টাকা থাকতে হবে। এবং মাস শেষে প্রতিদিনের গড় টাকার উপর নির্ভর করে মুনাফা প্রদান করা হবে। মুনাফা অবশ্যই ভ্যাট / ট্যাক্স কাটার পর যা থাকে সেটি প্রদান করা হবে। 

মাসজুরে একাউন্টে ১ থেকে ৫ হাজার টাকা থাকলে গড় টাকার উপর ১.৫ শতাংশ বার্ষিক হারে মুনাফা দেয়া হবে। একই ভাবে ৫,০০১ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা থাকলে ২ শতাংশ। ১৫,০০১ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা অব্দি ৩ শতাংশ এবং ৫০ হাজারের অধিক টাকা থাকলে ৪ শতাংশ মুনাফা প্রদান করা হবে।   

বিকাশ সেভিংস এর মুনাফা 

টাকা স্বাভাবিক ভাবে না রেখে নিদিষ্ট অংকের অর্থ সর্বনিম্ম ২ বছরের জন্য DPS করে রাখলে ৫-৬% মুনাফা প্রদান করবে বিকাশ। এই লক্ষে বিভিন্ন ব্যাংকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে এবং বিকাশের মাধ্যমে সহজেই উক্ত সঞ্চয়ী একাউন্ট গুলো খুলে টাকা জমা রেখে মুনাফা পাওয়া যাবে। বিকাশ সেভিংস একাউন্ট তৈরি ও টাকা জমা রাখার পদ্ধতি জানুন উক্ত লিংকে ক্লিক করে। 

পরিশেষে, এই ছিলো বিকাশে টাকা রাখলে মুনাফা কিভাবে পাওয়া যায় সেই পদ্ধতি গুলো নিয়ে ব্যাসিক তথ্য। বিকাশ সহ অন্যান্য অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবা থেকে মুনাফা পাওয়ার নিয়ম জানতে চোখ রাখুন ওয়েবসাইটে। 

Leave a Comment