ইউটিউব এ সফলতা পাওয়ার ৫ টি উপায়

ইউটিউব এ সফলতা পাওয়ার ৫ টি উপায়

আপনারা যারা নতুনভাবে ইউটিউবিং শুরু করতে চাচ্ছেন বা কনটেন্ট ক্রিয়েটিং করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ।

আজকের আর্টিকেল এ আমি আপনাদের সাথে পাঁচটি টিপস শেয়ার করব । যে পাঁচটি টিপস আপনার ইউটিউবিং শুরু করার আগে বা কনটেন্ট ক্রিয়েটিং শুরু করার আগেই প্রয়োজন । একজন ইউটিউবার ক্যারিয়ারে যে ভুলগুলো করে থাকে বা যে ভুলগুলো এখনো ফেস করতে হয় , সেই ভুলগুলো যেন আপনাদের ও না হয় তার জন্য আজকের এই পাঁচটি টিপস আপনাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

ইউটিউব এ সফলতা পাওয়ার ৫ টি উপায়

আপনারা যদি ইউটিউবিং ক্যারিয়ারে প্রথম থেকেই সফলতা পেতে চান তাহলে এই পাঁচটি টিপস মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং মেনে চলুন তাহলেই আপনার ক্যারিয়ার হয়ে উঠবে গোছালো এবং সুন্দর । তাহলে চলুন শুরু করা যাক ।

১. স্টুডিও সেটআপ

আপনি যখন ইউটিউবিং শুরু করতে যাবেন বা কনটেন্ট ক্রিয়েটিং শুরু করতে যাবেন , প্রথমেই একটি ভালো স্টুডিও সেটআপ নিয়ে শুরু করার চেষ্টা করবেন । অর্থাৎ ভালো একটা ব্যাকগ্রাউন্ড বা ভালো একটা স্টুডিও সেটআপ করে আপনি ভিডিও তৈরি করা শুরু করবেন । কারণ প্রথমে আপনি যেখানে সেখানে ভিডিও করলে তা কোয়ালিটিফুল হবে না সেটা পরবর্তীতে আপনার চ্যানেল এ ইফেক্ট ফেলবে তাই প্রথম থেকেই সুন্দর সাজানো-গোছানো করে শুরু করুন ।

২. সাউন্ড কোয়ালিটি

প্রথম থেকেই খুব ভালো সাউন্ড কোয়ালিটি দিয়ে ভিডিও তৈরি শুরু । সাউন্ড কিন্তু একটা ভিডিওর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ । ধরুন আপনার ভিডিও কোয়ালিটি ভালো হয়নি কিন্তু সাউন্ড কোয়ালিটি খুব ভালো হয়েছে এবং ক্লিয়ার শোনা যাচ্ছে । এতে করে আপনার চ্যানেলের উপর কোনো – আসবে না । তবে ভিডিও কোয়ালিটি তো ভালো থাকতেই হবে । সাউন্ড কোয়ালিটি ভালো হলে চ্যানেল দ্রুত গ্রো করতে পারবেন ।

৩. নিয়মিত ভিডিও আপলোড না করা

নিয়মিত ভিডিও আপলোড না করা । আপনি চেষ্টা করবেন দুই থেকে তিনদিন পর পর একটা করে ভিডিও আপলোড দেওয়ার । কারণ আপনি যদি প্রতিদিন ভিডিও আপলোড করেন তাহলে অটোমেটিক আপনার চ্যানেলের ভিডিও কোয়ালিটি খারাপ হয়ে যাবে । লক্ষ করে দেখবেন যারা প্রফেশনাল ইউটিউবার আছে তারা একটা ভিডিও আপলোড করার পর ৫-৬ দিন পর পরবর্তী ভিডিও আপলোড করে । তারা একটা ভিডিও ইডিটিং করতে ৪-৫ দিন সময় নেয় যার ফলে তাদের ভিডিও কোয়ালিটি ভালো হয় । তবে আপনাদের রেগুলার ভিডিও আপলোড দিতে হবে । রেগুলার বলতে আপনি যদি তিন দিন পর পর ভিডিও আপলোড দেন তাহলে আপনাকে সেই নিয়ম অনুযায়ী তিন দিন পর পরই ভিডিও আপলোড দিতে হবে । তাহলে আপনার অ্যাক্টিভিটি বজায় থাকবে এবং ইউটিউব আপনার ভিডিওটি র্যাঙ্কিংয়ে ( ranking ) সাহায্য করবে । সো প্রতিদিন ভিডিও আপলোড না করে একটা শীট তৈরি করুন এবং সেই অনুযায়ী ভিডিও আপলোড করুন ।

৪. Script লিখে ভিডিও তৈরি করা

একটি সুন্দর ভিডিও তৈরি করার জন্য অবশ্যই আগে একটি স্ক্রিপ্ট লেখা প্রয়োজন । স্ক্রিপ্ট লিখে নিলে ভিডিওর কোথায় কি বলতে হবে সেই ধারাটি বজায় থাকে এবং ভিডিও সুন্দর এবং গোছালো হয় । স্ক্রিপ্ট না লিখে ভিডিও করলে ভিডিও এলোপাথাড়ি হয় এবং ভিওয়ার্স বিরক্ত হয় । তাই ভিডিও কোয়ালিটিফুল বানানোর জন্য অবশ্যই আগে স্ক্রিপ্ট লিখে তারপরে ভিডিও তৈরি করা শুরু করুন । স্ক্রিপ্ট লেখার জন্য আপনারা ছোট খাতা বা ডায়েরি ব্যবহার করতে পারেন ।

৫. নির্দিষ্ট নিশ অনুসরণ করা

আপনার নির্দিষ্ট নিশ অনুসরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইউটিউবিং এর ক্ষেত্রে । আপনার চ্যানেলটির যে বিষয়ের উপর তৈরি করা সেই বিষয়েই ভিডিও আপলোড দেওয়ার চেষ্টা করবেন । একেক দিন একেক ধরনের ভিডিও আপলোড দিয়ে জগাখিচুড়ী করবেন না । ধরুন আজকে ফানি ভিডিও কালকে ওয়াজ পরেরদিন টেক ভিডিও ইত্যাদি । একেক দিন একেক রকমের ভিডিও আপলোড এর ফলে আপনার চ্যানেলের রেংকিং কমে যাবে । তাই যে কোন এক বিষয়ে ভিডিও দেয়ার চেষ্টা করুন । তাহলে আপনার ইউটিউবিং ক্যারিয়ারে সফলতা পাবেন ।

 

Read More:

তো বন্ধুরা এই পাঁচটি টিপস ছিল নতুনদের জন্য যারা ইউটিউবিং শুরু করতে চাচ্ছেন অবশ্যই এই পাঁচটি টিপস মেনে কাজ করার চেষ্টা করবেন । তাহলে খুব দ্রুত ইউটিউব এ সফলতা অর্জন করতে পারবেন । তো আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই পাঁচটি টিপস আপনাদের কেমন লেগেছে তা কমেন্ট করে জানাবেন । ধন্যবাদ ❤️।

Leave a Comment