বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম ও টাকা জমা রাখার পদ্ধতি

 

এখন থেকে বিকাশ থেকেও ব্যাংকে সেভিংস বা সঞ্চয়ী একাউন্ট খুলে টাকা জমা রাখা এবং সেখান থেকে নিদিষ্ট হারে ইন্টারেস্ট বা সুদ গ্রহন করতে পারবেন খুব সহজেই। এক্ষেত্রে আপনি কেবল বিকাশ ইউজার হলেই হবে। বর্তমানে বিকাশের সাথে চুক্তিবদ্ধ রয়েছে তিনটি আর্থিক ব্যাংক (আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড) আপনি আপনার চাহিদা মোতাবেক যেকোনো ব্যাংকে নিদিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে খুব সহজেই সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে ও টাকা জমা রাখতে পারবেন। কিভাবে? তার বিস্তারিত নিয়ম থাকছে এবারের আর্টিকেলে। প্রথমেই জেনে নেয়া যাক বিকাশ সেভিংস এর কিছু সুবিধা সম্পর্কে। 

বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম ও টাকা জমা রাখার পদ্ধতি

বিকাশ সেভিংস এর সুবিধা 

১) সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই সহজ কিছু ক্লিকের মাধ্যমে সেভিংস একাউন্ট তৈরি করা যায়। 

২) অর্থ জমা দেয়ার জন্য কোথাও যেতে হবে না, বিকাশ একাউন্ট থেকে অটোমেটিক টাকা জমা হয়ে যাবে।

৩) সেভিংসের সকল তথ্য বিকাশ অ্যাপ থেকেই দেখা যাবে এবং প্রতি লেনদেনের নটিফিকেশন পাওয়া যাবে। 

৪) মেয়াদ শেষে মুনাফা সহিত আসল অর্থ বিকাশ একাউন্টে চলে আসবে। 

৫) সঞ্চয়ী হিসাব থেকে প্রাপ্ত অর্থের ক্যাশআউট চার্জ ফ্রী। 

বিকাশ সেভিংস এর মুনাফার

বর্তমানে বিকাশ থেকে ৩ টি ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খোলা ও সেখানে DPS করা যায়। এক্ষেত্রে তাদের মুনাফার হার গুলো হলো: 

  • আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড – ৭ শতাংশ
  • ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড – ৬ শতাংশ 
  • মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড – ৫.৫ শতাংশ 

কোন মোবাইল সবচেয়ে ভালো ২০২৩

বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম 

১) সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে বিকাশ অ্যাপের ড্যাশবোর্ড থেকে “সেভিংস” নামক অপশনে ক্লিক করে সেখানে থাকা নিয়ম ও শর্তাবলিতে সম্মতি প্রদান করে এগিয়ে যেতে হবে। এরপর সেখানে থেকে নতুন সেভিংস স্কিম খুলুন নামক অপশন থেকে একাউন্ট খোলার প্রসেস শুরু করুন।

২) প্রথমেই দুইটি একাউন্ট খোলার অপশন থাকবে। ১) সাধারণ সেভিংস; ২) ইসলামী সেভিংস;

৩) মুনাফা প্রাপ্তির জন্য সাধারণ সেভিংস একাউন্ট বেছে নিন। এবার সেভিংস কত সময়ের জন্য করতে চাচ্ছেন সেটির তথ্য দিন। সাধারণত ২ বা ৩ বা ৪ বছরের জন্য মাসিক ধরনের একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। 

৪) এবার প্রতি মাসে কত টাকা জমা রাখবেন সেই তথ্য দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি সর্বোনিম্ম ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০০০ টাকা অব্দি। অর্থ সিলেকশনের পর আর্থিক প্রতিষ্ঠান তথা ব্যাংক সিলেক্ট করতে হবে। যেমনটা বলেছি বর্তমানে বিকাশের সাথে যুক্ত রয়েছে তিনটি ব্যাংক (আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড) এখান থেকে যেকোনো একটি সিলেক্ট করুন। 

৫) এই পর্যায়ে আপনাকে নমিনির তথ্য এবং সেভিংস এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানাতে হবে। এরপর সেখানে দেখানো নিয়ম ও শর্তাবালি গুলো ভালোভাবে পড়ে সম্মতি প্রদান করুন। এবার পিন দিয়ে সেট করে ফেলুন আপনার সেভিংস একাউন্ট। একাউন্ট ঠিক ঠাক ভাবে খোলা হয়ে গেলে ব্যাংক থেকে একটি কনফার্মেশন ম্যাসেজ পাঠাবে। 

বিকাশ সেভিংস একাউন্ট সংক্রান্ত কিছু তথ্য 

১) তিন মাস আগে কোনো সেভিংস স্কিম বাতিল করা যাবে না। ৩ মাস পর যেকোনো সময় এটি এনক্যাশমেন্টের আবেদন করতে পারবেন। 

২) মেয়াদ শেষের আগে হিসাব ক্লোজ করে দিলে সম্পূর্ণ মুনাফা প্রদান করা হবে না। 

৩) বিকাশ নিজে থেকে অটোমেটিক কিস্তির টাকা পরিশোধ করবে, কোনো কারণে উক্ত দিনে না করতে পারলে আগামী ৭ দিন চেষ্টা করবে। এই সময়ে ব্যালেন্স যুক্ত না হলে ওই দিনের মুনাফা বাতিল হবে।

পরিশেষে, এই ছিলো বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম ও টাকা জমা রাখার পদ্ধতি। এভাবেই বিকাশ থেকে ধিরে ধিরে সেভিংস একাউন্টের মাধ্যমে মুনাফা পেতে পারেন। বিকাশ সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে অনুসরণ করুন ওয়েবসাইটটি। ধন্যবাদ। 

Leave a Comment